বিমানের যাত্রী বসার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু

আইটি আন্তর্জাতিক খেলা প্রবাস বাংলাদেশ লেখাপড়া শিক্ষক শিক্ষার্থী

করোনা (কোভিড-১৯) মহামারীর কারণে বিমানের যাত্রী বসার ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতির পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ফলে এখন থেকে একটি ফ্লাইটে সর্বোচ্চ ২৬০ জন এবং ন্যারো বডি বা মাঝারি আকারের এয়ারক্রাফটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪০ জন বহন করা যাবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান এই নির্দেশনা জারি করেছেন। যা ১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

এ সংক্রান্ত সার্কুলারে বলা হয়, করোনা মহামারীতে সতর্কতার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার ফ্লাইটে যাত্রী সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ওয়াইড বডি বা বড় সাইজের এয়ারক্রাফটের ক্ষেত্রে একটি ফ্লাইটে সর্বোচ্চ ২৬০ জন এবং ন্যারো বডি বা মাঝারি আকারের এয়ারক্রাফটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪০ জন যাত্রী বহন করা যাবে।

এছাড়াও আগাম সতর্কতা হিসেবে বিমানের ইকোনমি ক্লাসের শেষের সারি ও বিজনেস ক্লাসের কমপক্ষে একটি সিট (কোনো বিশেষ কারণ ছাড়া) সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের জন্য খালি রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

এদিকে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো চলাচলের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ পরিবর্তন করেছিল বেবিচক। এরপর করোনা পরবর্তী সময়ে প্রথম ফ্লাইট চালু হলে এক সিটে যাত্রী বসলে পাশের সিট খালি রাখা হতো। পরে সেই নির্দেশনা পরিবর্তন করে সব সিটেই পাশাপাশি যাত্রী বসার অনুমতি দেয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি বিমানের শেষ দিকে দুটি সারির সিট খালি রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়।

এর আগে গত মে মাসে বেবিচক’র আরেক নির্দেশনায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নির্দেশনা মতে ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে এক সিটে যাত্রী বসবেন, আর পাশের সিট  ফাঁকা থাকবে।

বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে এভাবেই ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এছাড়াও আইকাও’র নির্দেশনা অনুযায়ী একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেশের এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় করে বেবিচক।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.